কবিতা (বিদেশ যাবো)
বিদেশ যাবো।
সৈয়দ জামাল হোসেন।
বিদেশেতে যাব আমি
ভাবছি বসে বসে।
আদম বেটার বসত বাড়ি
আমার বাড়ির পাশে।
দাদা বলে ডাকি তারে
একটা ভিসা দেননা মরে।
মুচকি হাসি দিয়ে দাদায় বলে
ভালো ভিসা আসে যদি, আগে দিব তোরে।
সান্ত্বনা পাই দাদার কথায়
আমায় অনেক ভালো জানে।
আবার কানে কানে বলে দাদায়
ভালো ভিসা দিব তোকে, লোকে যেন না শুনে।
নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে
এবার ঘুড়ি দাদার পিছে।
অবশেষে দাদায় ভিসা দিলেন
আমার জন্য বেছে।
এরই মধ্যে ফ্লাইট ডেট
কি আর করব ভাই।
দৌড়া দৌড়ি দেখা সাক্ষাৎ
ঢাকা চইলা যাই।
বনানীতে আদম অফিস
কন্ছান যাহার নাম।
যাইয়া দেখি কন্ছানে ভাই
অনেক লোকের জ্যাম।
বইসা একা ভাবছি আমি
সৌদি আরব যাবো।
কোন সময় যে বিমান টিকিট
হাতে আমি পাবো।
এরই মধ্যে সন্ধ্যা সাতটা
টিকিট পেলাম হাতে।
এখন কিন্তু আদম দাদা
নেইকো আমার সাথে।
রাত চলে যায় বিমান বন্দর
ফ্লাইট সকাল বেলা।
তখন থেকেই বুঝতে পারলাম
বিদেশ অনেক জালা।
সকাল নয়টায় বিমান চরে
সৌদি আরব আশি।
এসে দেখি সৌদি আরব
হইয়া গেছে বাসি।
বাংলার মতো আর কোথাও নেই
বুঝলাম বিদেশ এসে।
তারা তারি যাব আমি
সোনার বাংলাদেশে।
কখন যে মা আসব আমি
ফিরে তোমার কোলে।
এই ভেবে বালিশ ভিজে
আমার চোখের জলে।
সত্যি সত্যি ঠিক করেছি
মনের সাথে করব নাকো জোর।
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি
কাটিয়ে দিয়েছি সতেরো বছর।
No comments