প্রবাস জীবন মানেই কস্ট ।
প্রবাস জীবন মানেই কস্ট।
বেশ কিছু দিন যাবৎ ইউটিউব, ফেইসবুক সোসাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ছিল প্রবাসী বাঙ্গালীদের নিয়ে। আর এই ভিডিওটা দেখার পর সমস্ত প্রবাসী বাংগালীরা কস্টে, দুঃখে, ক্ষোভে ফেটে পড়েন।একটি টপিক নিয়ে ভিডিওটি বানানো হয়। ভিডিওর টপিকটি ছিল এই রকম-
প্রবাসী ছেলেদের কেন বাংলাদেশের মেয়েরা বিয়ে করতে চায় না? এই প্রশ্নটা করে কয়েকটি মেয়ের মতামত নেয়া হয়। আর মেয়ে গুলো তাদের মতামত দিতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করে।
মেয়ে গুলো যেসব মন্তব্য করেছিল, তাতে সমস্ত প্রবাসী বাংগালীরা ভিষন কস্ট পেয়েছিল । আর কস্ট তো পাবেই কারণ এই প্রবাসীরাই তো বাংলাদেশের রুপকার। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা তারাই তো সচল রেখেছে। আজ প্রতান্তো অঞ্চলে গেলে দেখা যায় পাকা দালান কোঠা। যতো উন্নয়ন চোখে পড়ে তার সিংহ ভাগই প্রবাসীদের অর্থে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, আর এই কৃতিত্বের দাবিদার প্রবাসী বাংগালী।
আর তাইতো ঐ নস্টা মেয়ে গুলোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সমস্ত প্রবাসী বাংগালীরা। প্রবাসীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ। এই নগ্ন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশে বিদেশে।
তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে ভিডিও ধারন কারী হাত জোর করে ক্ষমা চান সমস্ত প্রবাসীদের কাছে। এবং শেষ পর্যন্ত ভিডিওটি ডিলিট করতে বাধ্য হন ইউটিউব থেকে।
যেসব মেয়ে গুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল প্রবাসীদের সম্পর্কে, তাদের দুই একজনকে দেখা গেলো ক্ষমা চাইতে।
ভিডিও টিতে দেখা যায় পাবলিক প্লেচ থেকে ভিডিওটি ধারন করেছে। মেয়ে গুলোর বক্তব্য নিয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধান করে এবং বিভিন্ন জনের মন্তব্য থেকে জানা যায়, মেয়ে গুলো ভিডিও ধারন কারীর পূর্ব পরিচিত। আর সমস্ত ঘটনাটি ছিল সাজানো। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, যিনি ভিডিও ধারন করেছে তার সাথে এবং মন্তব্যকারি মেয়ে গুলোর সাথে কথা বলতে, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হই।
প্রবাস জীবন অনেক কষ্টের। এখানে মা বাবা, ভাই বোন, পাড়া প্রতিবেশী, ও আত্মীয় স্বজন সবাইকে ছেড়ে থাকতে হয় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, আর বছরের পর বছর। এখানে একজন প্রবাসীর আমার আমি বলতে কিছু নেই। আমি যেন অন্যের দাস। নিজের চাওয়া পাওয়ার কোন মুল্য নেই।
একজন প্রবাসী নিজের সমস্ত সুখ বিলিয়ে দেয় তার আপন জনদের সুখের আশায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় যাদের জন্য এতো ত্যাগ, যাদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য একজন প্রবাসী সমস্ত কিছু বিসর্জন দেয়, তারা কোন দিন এই হতভাগার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে না। তার কাছে একটার পর একটা বায়না করতেই থাকে। আজ ওমোকের জন্য মোবাইল ফোন তো কাল ওমোকের জন্য স্বর্নের গহনা। এর পর আর একজন আবার বলবে ও বিদেশে গিয়ে আমাদের জন্য একটা কম্বল ছাড়া আর কি দিছে?
মনে হয় সমস্ত বাংলাদেশের লোকের চাহিদা পূরণ করতে হবে একজন প্রবাসীর।এভাবেই দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় প্রবাস জীবন আর শেষ হয়না।
রিপোর্টঃ - সৈয়দ জামাল হোসেন ।
No comments