নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বর্বরতা রাজাকারদেরও হার মানিয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বর্বরত রাজাকারদেরও হার মানিয়েছে।
এই ভিডিও দেখে কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে স্থির থাকা সম্ভব নয়। আজ কোথায় আমাদের মা বোন স্ত্রীর নিরাপত্তা? কুত্তাগুলি এখনও কেন এই স্বাধীন বাংলায় বেঁচে আছে? তাহলে কি এই দেশ ওদের? একজন খুনীর যদি ফাঁসি হয় তবে ধর্ষকের ফাঁসি কেন নয়? এই প্রশ্ন আজ সমগ্র জাতির কাছে।
নোয়াখালী'র বেগমগঞ্জে এক নারী'র সঙ্গে মধ্যযুগীয় বর্বরতা করা হয়েছে। কি কায়দায় বর্বরতা করা হয়েছে; এর পুরো বর্ণনা করবো। কেন করবো; এর ব্যাখ্যা এই লেখার শেষ অংশে করবো।
ভিডিও'তে দেখা যাচ্ছে এক নারী সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় চিৎকার করে কাঁদছে; সেই সঙ্গে বলছে -বাবা গো আমাকে ছেড়ে দে। "আব্বা গো তোর আল্লাহ'র দোহাই ছাড়ি দে!" ২০-২৫ বছরের ছেলে গুলো হায়েনার মতো হাসছে আর বলছে -উল্টা, উল্টা, উল্টা!
বিবস্ত্র ওই নারী নিজেকে বাঁচানোর জন্য উপর হয়ে শুয়ে কাঁদছিল আর বলছিল - এরে আব্বা গো, তোগো আল্লাহ'র দোহাইরে। এরপর এই হায়েনা গুলো বলছে - তোর স্বামী'র মায়েরে ....। (দুঃখিত, এই ভাষা ব্যাবহার করতে পারছিনা)।এরপর আরেকজন বলছে -হোতা এরে (অর্থাৎ ঠিক মতো শোয়া একে)! এরপর তিনজন মিলে ধরে মহিলাকে ধরে সোজা করেছে। এর মাঝে একজন বলছে - এ সা (মানে এই দেখ) ... সব আটকি রইসে ( দুঃখিত, এই ভাষা ব্যাবহার করতে পারছিনা)।এরপর সম্পূর্ণ উলঙ্গ এই নারী'র পা দুটো উঁচু করে একজন তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়েছে। এরপর লাঠি দিয়েছে। আরেকজন পাশ থেকে বলছে - ফেসবুক হবে ফেসবুক। আরেকজন বলছে- লাইভ হবে। অন্য একজন বলছে -দুধে হিদ (দুধে মার)। সব গুলো মিলে এরপর বলছে - অনো বিষ কমেনো, ক্যা? মানে হচ্ছে -এখনো বিষ কমেনি, না?
ভিডিওটা এখানে'ই শেষ হয়েছে। এই পুরো সময়টায় মহিলা'টা কাঁদছিল আর বলছিল - বাবা গো, ছাড়ি দে।
পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনা'র সত্য'টা নিশ্চিত হতে পেরেছি। যে লোক এই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছে,সেখানে অনেকে মন্তব্য করেছে -এটা বাংলাদেশের ঘটনা না নিশ্চয়। অর্থাৎ ঘটনার হিংস্রতা দেখে অনেকে হয়ত বিশ্বাস'ই করতে পারছে না, এমন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। অনেকে আবার সেখানে লিখেছে-এই ভিডিও কেন আপলোড করেছেন। এটা ঠিক হয়নি। এক সময় আমিও ভাবছিলাম - এই ভিডিও আপলোড করা ঠিক হয়নি। এরপর আমি আমার মত পাল্টে এই লেখা লিখতে বসেছি।
কী, আমার লেখা উপরের বিবরণ শুন চটি চটি মনে হচ্ছে? ভাবছেন- ছিঃ, এইসব এভাবে লেখার কি দরকার ছিলো। ঘটনা'টি ২০ থেকে ২৫ দিন আগের। আজ যখন ফেসবুকে ওই ভিডিও'টি ভাইরাল হয়েছে; তখন পুলিশ আর প্রশাসনের টনক নড়েছে! তারা নাকি "এক" জনকে গ্রেফতার করেছে। ভিডিও'টা সেয়ার করা তো আর আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই ঘটনার বিবরণ বরং লিখে প্রকাশ করলাম।কেন, এতো দিনেও আমরা এই ঘটনার কিছু জানতে পারিনি? আজ যখন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তখন প্রসাশনের নজরে এসেছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন। বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে নির্যাতনের শিকার নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র মতে জানা যায়- ওই নারীর ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় কয়েক বছর আগে তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন। তাঁর এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে ওই নারী ছেলে ও এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি তাঁর স্বামী তাঁর কাছে আসা-যাওয়া করতে শুরু করেন। এ নিয়ে কয়েকজন যুবক আপত্তি জানিয়ে সেদিন ওই নারীকে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন ওই নারী তাঁর স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন। নির্যাতনকারীরা তাঁর স্বামীকেও আটক করে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীর ভাই ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন।
ওই নারীর মা নেই। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন।
No comments